ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধরলার বালুচরে ফুলের হাসি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
🕐 ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০

ধরলা নদীর বালুচরে ফুল চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চরের চাষি নজরুল ইসলাম। বাহারি রঙ আর গন্ধে ভুরভুর গেছে ফুলের বাগান। ৬৫ শতক জমিতে গাঁদা, গ্লাডিউলাস ও গোলাপের চাষ করে চলতি বছর তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন তিনি। আরো দুই লাখ টাকার ফুল অনায়াসে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এই চাষি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার এই চাষি নজরুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমে উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব চরে ৩০ শতক জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে ফুল চাষ করেছিলেন তিনি। ৪০ হাজার টাকার ফুলও বিক্রি করেছেন। ফুল চাষের সম্ভাবনা দেখে ভুট্টার আবাদ বাদ দেন। চলতি মৌসুমে ৩০ শতক জমিতে গাঁদা, ১৫ শতকে গ্লাডিউলাস ও ২০ শতকে গোলাপের চাষ করেন। যশোর থেকে চারা এনে ফুল লাগানোর এক মাসের মাথায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ফুল বিক্রি শুরু করেন। কুড়িগ্রাম শহরের মিম পুষ্পালয় তার সব ফুল কিনে নিচ্ছে। ফলে লাভবান হচ্ছে উভয়ই।

নজরুল ইসলাম আরো জানান, চরের পলিযুক্ত বালু মাটিতে অল্প পরিচর্যা আর খরচে ফুলের চাষ হচ্ছে। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত হচ্ছে ফুলচাষ। বন্যার সময়টা এমনিতেই উৎপাদন কমে যায়। তাই তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। বর্তমানে প্রতিটি গোলাপ ১০ টাকা, গ্লাডিউলাস ১০ টাকা ও গাঁদা ফুল প্রতি একশ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

কুড়িগ্রাম কলেজ রোডে অবস্থিত মিম পুষ্পালয়ের মালিক মানিক মিয়া জানান, দুই বছর আগে কুড়িগ্রামে শতভাগ ফুলের চাহিদা মেটাতে হতো যশোর থেকে ফুল এনে। কিন্তু গত বছর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের উদ্যোগে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নে ফুলচাষ শুরু হয়। এ বছরও ওই এলাকায় এক একর জমিতে ফুল চাষ করা হচ্ছে। পাশপাশি ধরলার চরে ফুলচাষের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এখন কুড়িগ্রামে উৎপাদিত ফুল দিয়ে অনেকটা চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, কুড়িগ্রামে ফুল চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখে ফুল চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে ফুলচাষিরা লাভবান হচ্ছেন। ফুলচাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এখন অনেকেই।

 
Electronic Paper