ইমদাদুলের রঙিন মাছের খামার
শাহিনুল আশিক, রাজশাহী মহানগর
🕐 ১২:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
মাছের বাড়ি। শুনতে কেমন অবাক লাগে। প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছের বসবাস এখানে। দুটি রুমের একটি ছাদ ওয়ালা বাড়ির বারান্দায় থরেথরে সাজানো অ্যাকুরিয়ামে বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন মাছ। বাড়িটির উঠান পেরিয়ে মাছ চাষের জায়গা করা হয়েছে ছাদেও।
এমন মাছের বাড়ির দেখা মিলবে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায়। ২০১৬ সালের শেষের দিকে মাত্র চার কাঠা জমিতে ইমদাদুল হক পুকুর ছাড়া মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
লক্ষ্য কম খরচে অল্প জায়গায় অধিক ঘনত্বের আধুনিক প্রযুক্তি রিসাইক্লিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম বা রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ। ইমদাদুল হক এমন প্রযুক্তিকে আরও অভিনব উপায়ে ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে মাছ চাষে পুকুরের তুলনায় অর্ধেকের কম খরচ হয় বলে জানান তিনি।
ইমদাদুল হক জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ এখন উন্নত বিশ্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেছে। নিজের আন্তরিকতায় এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন নিজে। অভিনব এই পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব কম জায়গায় অল্প খরচে অধিক মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। তার এই সাফল্য এখন বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে অন্যদের মাঝেও। তাই অনেকেই আসছেন পরামর্শ বা প্রশিক্ষণ নিতে।
যদিও ইমদামুল হকের ছিলো না কোনো প্রশিক্ষণ। নিজেই অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এমন দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন মাছ চাষে। তিন বছরে তার মাছের সেই কুটিরশিল্প ছোটখাটো মাছের কারখানায় পরিণত হয়।
এখন তিনি ছোট-বড় সবমিলে ৭৪টি সিমেন্টের ট্যাংক ও প্লাস্টিক ড্রামে মাছ চাষ করছেন। তাতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার লিটার পানিতে উৎপাদন করছেন প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ। ট্যাংক ও ড্রামে উৎপাদন হচ্ছে শিং, মাগুর, কই ও সৌখিন রঙিন বিদেশি মাছ।