খেঁজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছি
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৫:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০২, ২০১৯
প্রকৃতিতে শীতের আগমন বার্তা জানান দিচ্ছে। বাঙালির শীতের দিনের অন্যতম আকর্ষণ খেঁজুর গুড়ের তৈরি পিঠা-পায়েস। প্রাচীনকাল থেকে সিরাজগঞ্জ তথা চলনবিল এলাকার খেঁজুর রসের যশ ছিল। দিন বদলের সঙ্গে এ এলাকা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শুধু পরিবর্তন হয়নি খেঁজুরের রস সংগ্রহ এবং গুড়-পাটালি তৈরির পদ্ধতি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাসহ বিভিন্ন গ্রামগুলোতে ইতিমধ্যে গাছিরা খেঁজুর গাছ তোলা চাচার কাজ শুরু করেছে। অল্পদিনের মধ্যে বাজারে নতুন খেঁজুর গুড়-পাটালি পাওয়া যাবে।
স্থানীয় গাছী হাবিবুর রহমান জানান, শীতের আগমনী বার্তা দরজায় কড়া নাড়ছে তাই প্রতিবছররে মত এবছরও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছিরা চলনবিল এলাকায় এসে গাছ মালিকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে খেঁজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা প্রথমে খেঁজুর গাছের মাথা পরিষ্কার করেন। এরপর শুরু হয় রস সংগ্রহ। চিরাচরিত সনাতন পদ্ধতিতে মাটির কলসে রাতভর রস সংগ্রহ করা হয়।
ভোরের সূর্য ওঠার আগে গাছিরা রস ভর্তি মাটির কলস গাছ থেকে নামিয়ে পরে মাটির হাড়িতে কিংবা টিনের বড় হাড়িতে জ্বালিয়ে গুড়-পাটালি তৈরি করে। তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা ও সেরাজপুর গ্রামে দশজনের একটি গাছির দল এসেছেন রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও নাটোর এলাকা থেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম লুৎফুন নাহার লুনা জানান, তাড়াশ উপজেলাসহ চলনবিল এলাকা খেজুর রস খুব মিষ্টি মধুর, তাছাড়া রস থেকে খেজুরের পাটালী গুড় তৈরি করা হয়। যা দিয়ে চলনবিলাঞ্চলের জনপদের মানুষ বিভিন্ন পিঠাপুলি তৈরি করে থাকেন।