ব্যাংক ঋণের জটিলতা
জৈব উদ্ভাবনীর সফলতা ম্লান
মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৭, ২০১৮
মেহেরপুরের হোগলবাড়ীয়া-আকুবপুর গ্রামের তিন যুবকের কেঁচো কম্পোস্ট সার (জৈব সার) স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাদের সহায়তা আশপাশের এলাকায় অন্তত ১৫-২০টি স্থানে জৈব সার উৎপাদন হচ্ছে। শুধু জৈব সার নয় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই ফসল উৎপাদনের উপকরণী তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু পুঁজির অভাবে অন্য এলাকায় এ সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাণিজ্যিকভাবে এগুলো তৈরি ও বাজারজাত করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার জোগান দিতে পারছেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক ঋণের জন্য ধরনা দিয়েও মিলছে না। এতে ম্লান হচ্ছে জৈব উদ্ভাবনীর সফলতা। কেঁচে কম্পোস্ট খামারের অন্যতম উদ্যোক্তা মহির উদ্দীন রাখাল বলেন, ‘গো-চুনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন। যা ধরে রেখে যে কোনো ফসলে ইউরিয়া সারের বিকল্প প্রয়োগ করে সফলতা এসেছে। এ ছাড়াও কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে নিমপাতা, তুলসি পাতাসহ বিভিন্ন গাছ-গাছড়া দিয়ে জৈব কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী তৈরি করে আমরা সফল হয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে এগুলো তৈরি ও বাজারজাত করতে প্রয়োজন অনেক টাকা। তবে ব্যাংকে ধরনা দিয়েও ঋণ পাচ্ছি না। কেঁচো কম্পোস্ট ও জৈব কীটপতঙ্গ তৈরি এবং বাজারজাতের বিষয়ে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা দিতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তাদের ঋণ প্রাপ্তির বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব।’
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেন ঋণ সুবিধা দিচ্ছে না খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।