আত্রাইয়ে পাটচাষে কৃষকের আগ্রহ কমেছে
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
🕐 ১০:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৮
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বছরের পর বছর দেশের আবহাওয়া পরিবর্তনের ছাপ পড়তে শুরু করেছে পাটচাষিদের ওপর। বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় এক সময়ের এদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল সোনালি আঁশ হিসেবে খ্যাত পরিবেশবান্ধব পাটের চাষ।
বর্তমানে পাটচাষে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষকরা। ফলে এবার পাটের ভরা মৌসুমেও পাট মেলেনি উপজেলার হাটবাজারগুলোতে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে পাটের দরপতন, উৎপাদন খরচ বেশি ও পাট পচানো পানির অভাবেই কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ৬০ এর দশকে দেশের খ্যাতমান পাটক্রয় কেন্দ্র ছিল নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। এক সময় উপজেলার র্যালি ব্রাদার্স নামে বিখ্যাত সেই পাটক্রয় কেন্দ্রে পাটক্রয় করে তা আবার নৌপথে পাঠানো হতো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জুটমিলে। আত্রাই থেকে পাটগুলো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জুটমিলে নৌপথে ও রেলপথে নিয়ে যাওয়া হতো।
শুধু দেশেই নয় বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে আকাশপথে আত্রাইয়ের পাট রপ্তানি করা হতো ইংল্যান্ডে। সেই সময় মালবাহী উড়োজাহাজযোগে আত্রাই পাটক্রয় কেন্দ্র থেকে সরাসরি এ পাট লন্ডনে রপ্তানি করা হতো বলে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার এ উপজেলায় মাত্র ১২০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ করা হয়েছে। পাটের মূল্য কমসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে কৃষকরা পাটচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন জানান, বিগত বছরগুলোতে পাটের বাজার মন্দ থাকায় এ ফসলের প্রতি চাষিদের আগ্রহ কমে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবেশ বান্ধব পাটের মোড়ক বহুবিধ ব্যবহার করায় বর্তমান পাটের উৎপাদন ও বাজারদর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। প্রান্তিক চাষিদের পাটচাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি খরিফ মৌসুমে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে কৃষকদের গঠনমূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।