ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চরের কুমড়া চাষিরা দিশাহারা

সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর
🕐 ৮:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ০২, ২০১৯

রংপুরের তিস্তার চরাঞ্চলে পাইকারদের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসায়িক সংযোগ গড়ে না ওঠার কারণে মিষ্টি কুমড়ার প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণ করতে হিমাগার না থাকায় বাধ্য হয়েই পানির দরে বিক্রি করছে তারা। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মিষ্টি কুমড়া চাষিরা।

অন্যদিকে চাষিদের উৎপাদিত কুমড়া মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা পানির দরে কিনে বিভিন্ন বাজারে তিন থেকে চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। এর ফলে চাষিদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা।

রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, লালমনিহাট, নীলফামারী, সুন্দরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের প্রতি বর্ষা মৌসুম শেষে জাগে চর। সেখানে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া আবাদ করা হয়।

গঙ্গাচড়ার মহিপুরচর ইছলী গ্রামের কৃষক মহিবুল ইসলাম ও নুর মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে কুমড়া চাষ করেছি। ২-৩ মাসের বেশি বাড়িতে রাখতে পারি না। বাড়িতে রাখলে অনেক কুমড়ায় পচন ধরে, বাধ্য হয়ে সেগুলো গরুকে খাওয়াতে হয়। তাই পাইকারি ক্রেতা যে দাম দিয়েছে তাতেই বিক্রি করে দিয়েছি।

গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টার মিলন মিয়া ও কাউনিয়া উপজেলার মানিক মিয়া বলেন, ফসল ওঠার সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কম দামে কুমড়া কিনে অনেক বেশি দামে বাজারে বিক্রি করেন। এতে করে আমরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাই না। অথচ সরকারের সুদৃষ্টি থাকলে এই মিষ্টি কুমড়া হতে পারত আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এখানে একটা কোম্পানি তৈরি করে দিলে আমরা কুমড়ার ভালো দাম পাব। বিদেশেও রফতানি করতে পারব।

 
Electronic Paper