ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ময়মনসিংহে আউশ রোপণে ব্যস্ত চাষিরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৮

ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় একদিকে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। অন্যদিকে চলছে আউশ ধানের চারা লাগানোর কাজ। এসব এলাকার চাষিরা বছরে তিন ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সরেজমিন ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ব্লকের পাখীরচালা গ্রামে দেখা যায়, মাঠে চাষিরা আউশ ধানের চারা লাগাতে এখন ব্যস্ত। এ সময় হাফিজ উদ্দীন জানান, তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতায় আউশ ব্রি-ধান ৪৮ জাতের ধান লাগাচ্ছেন। তাছাড়া তারা এখন জমিতে তিন ফসল আবাদও করছেন।
তিনি জানান, ব্রি-৪৮ ধানের বীজ শোধন করে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। চারার বয়স ২২ দিন হওয়ার পর তা জমিতে লাগান। তিনি এবার ছয় বিঘায় লাইন লগু পদ্ধতি ও পার্চিং করে চারা লাগিয়েছেন। আউশ ধান কাটার পর একই জমিতে আমনের আবাদ করতে পারবেন।  হবিরবাড়ী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, আউশ ধান চাষে অনাগ্রহী চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকারি সহায়তার মাধ্যমে হবিরবাড়ী ব্লকে চলতি মৌসুমে ১১৩ বিঘা জমিতে উফসি ও নেরিকা জাতের আউশ আবাদ হচ্ছে। ১১০ দিন বা তিন মাসের মধ্যে ধান কাটা যাবে। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচ টন।  
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, চলতি মৌসুমে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হবে ১০০ হেক্টরে। তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে ১৬০ জন চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১২০ জন কে উপসি ও ৪০ জনকে নেরিকা জাতের বীজ দেওয়া হয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারগিস আক্তার জানান, তার উপজেলা বরাবরই ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবার চাষিরা বোরো ধান কাটার পর আউশ ধান আবাদে বেশ উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই আউশের চারা লাগানো শুরু করেছেন। আবার অনেকেই মাঠ প্রস্তুত করছেন। এদিকে ফুলবাড়িয়া ও গৌরিপুরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেখানও চাষিরা বোরো ধান কাটার পাশাপাশি আউশের চারা রোপন করছেন। অন্য বছরের তুলনায় এবার আউশ আবাদে চাষিরা ঝুকছেন বলেন জানান সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা।

 
Electronic Paper