আউশ চাষে ব্যস্ত কৃষক
কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ০৮, ২০১৮
কুমিল্লায় বোরোর ভালো ফলন হলেও ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে বেশ বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে কৃষকদের। এমন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কুমিল্লা আউশ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর কুমিল্লায় আউশ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর জমি।
কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলিপ অধিকারী জানান, এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে মৌসুমের শেষে কালবৈশাখী-বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে সার, বীজ, সেচসহ যাবতীয় সুবিধা প্রদান করছি। আর কৃষকরা এমন প্রণোদনা প্যাকেজ পেয়ে আউশ রোপণে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাইঘর এলাকার কৃষক মন্তাজ মিয়া, আবুল হোসেন, জামাল মিয়া, ওসমান গনিসহ অনেকেই জানান, এ বছর বোরো ধানের ভালো ফল হলেও তারা সে ফলন গোলায় তুলতে পারেননি। ধার-দেনা করে অন্যের জমি বর্গা চাষ করেছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ফলনেও গোলায় ফলন না তুলতে পারার আক্ষেপ ওই কৃষকদের। তাই তারা জানান, এমন ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই তারা আউশ ধান রোপণ করছেন। যদি আবহাওয়া অনুক‚লে থাকে তাহলে ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবেন।
বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক একই কথা বলেন। শুধুমাত্র শেষ সময়ে এসে মাঠের সোনালি ফসল তারা গোলায় তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। টানা ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাড়ির উঠানে কেটে আনা ধানগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড়গুলোও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, মেঘনা-তিতাস, হোমনা ও দাউদকান্দি ছাড়া বাকি আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, চান্দিনা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া,বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, দেবিদ্বার, লাকসাম ও সদ্য গঠিত লালমাই উপজেলায় আউশ ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এখন পর্যন্ত মোট ৭৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আবাদ করা হয়েছে ৬৪ হাজার হেক্টর জমি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আউশ ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।