ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রমরমা ডিলার সিন্ডিকেট সার সংকটে কৃষক

জসিম উদ্দিন, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
🕐 ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ডিলারদের সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির কারণে হাজারো হতদরিদ্র প্রান্তিক কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন ডিলার পর্যায় থেকে ঘুরে ঘুরে ভোগান্তির মধ্যে কৃষকদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সার।

যেখানে বর্তমান সরকার ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ এই স্লোগানকে ধারণ করে। এমনকি সাধারণ দরিদ্র কৃষকদের কথা চিন্তা করে ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে সরকার। এর মাঝেই চরকাজল ইউনিয়ন ও চর বিশ্বাস ইউনিয়নে বিসিআইসির সার ডিলারের অনিয়মে দিশাহারা প্রান্তিক কৃষক। গত বুধবার চরকাজল ক্লোজারে সারের ট্রলারে গিয়ে মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের মালিক আলী আহম্মদের নামে কাগজে লেখা আছে ২০০ বস্তা কিন্তু ট্রলারে পাওয়া যায় ৬৫০ বস্তা। এর তিনদিন আগে আলী আহম্মদ ৪০০ বস্তা সার এনে মন্নান ভূইয়া বাজারে গোপনে চড়া মূল্যে বিক্রি করেছেন বলেও জানা যায়।

এদিকে গত বুধবার চরকাজল ও চরবিশ্বাস ক্লোজার বাজারে স্টিল ট্রলারে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের ৩৭৮৫৯ নং রশিদের ৬শ বস্তা ইউরিয়া সার দেখা যায়। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতে সভা করে মৌখিকভাবে বরাদ্দের চেয়ে বেশি সার আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, জানুয়ারি মাসে প্রতি মূল ডিলার পর্যায়ে সার বরাদ্ধ ছিল মোট ২০ টন। তা তিনি এনে এ্যারাইবেলও দেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে বরাদ্ধ হল মোট ৩০ টন। সারের দাম ডিলার পর্যায় থেকে কৃষকদের কাছে বেশি নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, চরকাজল ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার আলী আহম্মদ ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার কুদ্দুছ মোল্লা কৃষকদের জিম্মি করে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন প্রতি বস্তা ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়। যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৮০০ টাকা। ড্যাপ সার বিক্রি হচ্ছে বস্তা ১৪০০ টাকা থেকে ১৫৫০ টাকায়, যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১২৫০ টাকা। এমওপি সার বিক্রি হচ্ছে বস্তা ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়, যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৭৫০ টাকা। চরকাজল ইউনিয়নের মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী আলী আহম্মদ (সাবেক চেয়ারম্যান) ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের মেসার্স এনায়েত এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী কুদ্দুস মোল্লার অনিয়মে তাদের ভোগান্তি চরমে বলে দাবি করেন তারা।

তারা জানান, প্রতি ইউনিয়নে মূল ডিলার ছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে ৯ জন করে সাব ডিলার আছেন। যাদেরকে ইউনিয়নের মূল ডিলার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

এদিকে চরকাজল ইউনিয়নের মূল ডিলার আলী আহম্মদের বিরুদ্ধে সাব ডিলারদের ঠিকমতো সার না দেওয়ার অভিযোগ আছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কিছুদিন আগেও মেসার্স আলী আহম্মদের বিরুদ্ধে সার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।

 
Electronic Paper