মধু সংগ্রহ করে জীবিকা
যেখানে মৌচাক সেখানেই রহিজ উদ্দিন
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

মধু সংগ্রহ করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন রহিজ উদ্দিন নামের এক মৌয়াল। শখ করে মৌমাছির মধু সংগ্রহ করাই এখন একমাত্র জীবিকার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান মৌচাকের খোঁজে। সংগ্রহ করা মধুর একাংশ গাছের মালিককে দিয়ে অপর অংশ নিয়ে এসে বিক্রি করে বাড়ি ফিরেন রহিজ উদ্দিন। এ ভাবেই প্রায় বিশ বছর ধরেই জীবনযাপন করছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন। নিজ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সবাই তাকে মধু নামেই চিনে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের পাহাড়িয়া এলাকা সখীপুরের বিভিন্ন গাছে ও ঘর বাড়িতে সারাবছরই প্রায় মৌচাক বসে থাকে। মধু সংগ্রহের সময় হলেই মৌয়াল রহিজ উদ্দিন এসে উপস্থিত হয়।
সরিষার মৌসুমে মৌচাক কাটতে অনেকটাই ব্যস্ত থাকেন তিনি। যারা খাঁটি মধু ক্রয় করতে ইচ্ছুক তারা এই মৌয়ালের সাথে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িবাড়ি যায়। চোখের সামনে মৌচাক কাটা দেখে ক্রেতারা যেমন বিস্মিত হয় আবার বিশ্বস্তও হয়।
ইন্দ্রারজানি এলাকার আয়নাল মিয়া বলেন, গাছে মৌমাছি বসলে রহিজ উদ্দিন এসে মৌচাক কেটে অর্ধেক মধু দিয়ে যায় আর অর্ধেক নিয়ে যায়। এই লোক ছাড়া মৌচাক কাটার কোনো লোক নাই এই দুই-চার-দশ গ্রামে।
মধু ক্রয় করতে আসা মাহবুবুল হক মাসুম বলেন, আমি এসেছিলাম খাঁটি মধু কিনতে। মৌচাক কাটার দৃশ্য দেখলাম আর খাঁটি মধু নিয়ে গেলাম।
মৌয়াল রহিজ উদ্দিন বলেন, ছোটবেলায় শখ করে মৌচাক কাটতাম আর এখন এটা ছাড়া আমার অন্য কোনো পেশা নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গাছের ডাল ও ঘরের চাল ঘেঁষা, জানালা ঘেঁষা এবং বিল্ডিংএর ছাদের নিচ থেকে মৌচাক কেটে অর্ধেক দিয়ে আর অর্ধেক নিয়ে আসি।
অনেক সময় ওখানেই মধু বিক্রি করে দেই। শুধু সখীপুর না ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৌচাক কাটেতে যাই। বলতে পারেন যেখানে মৌচাক সেখানেই আমি। আর এই মধু বিক্রির টাকা দিয়েই আমার সংসার চলে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
