ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিরাপদ সবজি চাষে নতুন দিগন্ত পলিনেট হাউজ

নালিতাবাড়ী সংবাদদাতা
🕐 ৪:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২২

নিরাপদ সবজি চাষে নতুন দিগন্ত পলিনেট হাউজ

পলিনেট হাউজ (গ্রীণহাউস) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টিপাত, তাপ, কীটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে শাকসবজি ফলমূলসহ কৃষি উৎপাদন করার এক আধুনিক পদ্ধতি। আর এই আধুনিক পদ্ধতির মধ্যে কলমে টমেটো চাষ করে এলাকায় সারা ফেলেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপাকুড়া গ্রামের কৃষক লতিফুল ইসলাম বকুল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরেই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় তের লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১০ শতাংশ জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই নান্দনিক পলিনেট হাউজ।

সরকারীভাবে কৃষি বিভাগ থেকে উচ্চমূল্য ফসল আবাদের প্রশিক্ষণ নেন লতিফুল ইসলাম বকুল। দশ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। এখন প্রতিটি গাছে টমেটো ধরতে শুরু করেছে। আর এতে করেই নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আশা করছেন এতে তিনি দেড় হাজার কেজি টমেটো পাবেন। যার বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। টমেটো গাছে তার পরিচর্যা খরচ হয়েছে ত্রিশ হাজার টাকার মতো।

পলিনেট হাউজের বিষয়ে তিনি জানান, লোহার পাইপের খুঁটির উপরে লোহার এঙ্গেল দিয়ে ঘরের মত করে চারিদিকে পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয় পলিথিননেট হাউজ। পলিথিন এর নিচে সূর্যের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ মাইক্রোণ ইউ ভি নেট। পলিনেট হাউজের ভেতরের তাপমাত্রা ও কৃত্রিম আবহাওয়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে আরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া উপরের অংশে কোয়াশার মতো পানি পড়ার জন্য স্প্রিং ব্যবহার করা হয়েছে। যা ঝর্ণার মতো পানি ঝরে গাছের গোড়া পযর্ন্ত পৌছে যায়।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর কবীর জানান, ইউভি পলিথিনের আচ্ছাদন থাকায় এতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ভেতরে প্রবেশে বাঁধা পায় এবং অতি বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দূর্যোগেও ফসল অক্ষত থাকে। বিশেষ করে চারা কলমের জন্য সব চেয়ে বেশি নিরাপদ। উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

 
Electronic Paper