ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

টানা বর্ষণে দেড়'শ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

সুজন মাহমুদ, রাজীবপুর
🕐 ৯:০৬ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২২

টানা বর্ষণে দেড়'শ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

গত ১ সপ্তাহে টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদ ও সোনাভরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাজীবপুরে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছে কৃষকরা। বিস্তীর্ণ এলাকার পাকা আধাপাকা বোরো ধান, পাট, চিনা, কাউন, তিল,বাদাম, শাকসবজি ও ভূট্রার ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেকেই পাকা ধান কাটতে পারলেও বৃষ্টির কারনে শুকাতে পারে নি। অনেকের ধানে অঙ্কুর(চারা) গজিয়েছে। বেড়ে গেছে ধান কাটা শ্রমিকের দাম।

পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্ডারী, পাখিউড়া, শংকর মাধবপুর, সাজাই, আনন্দন বাজার, উত্তর কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের বড়বের, কির্তনটারী, ভেলামারী, নাওশালা, রাজীবপুর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি, বউ বাজার, বদরপুর, মদনেরচর, পশ্চিম রাজীবপুর, করাতি পাড়া, দশঘড়িয়া পাড়া, হাজীপাড়া গ্রামের বিস্তৃত ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়েছে।

সদর ইউনিয়নের করাতি পাড়া গ্রামের সাহেব আলী বলেন,১ বিঘা জমিত পাট আবাদ করছি পাটের জমিত পানি উঠছে। দশঘড়িয়ার জামাল, পাখিউড়ার রফিকুল মদনেরচরের দুলাল মিয়া মরিচাকান্দি আবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পানিতে ধান তলিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আধাপাকা ধান কাটতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদ ও সোনাভরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাজীবপুরে ধান,পাট,কাউন,চিনা,তিল ও শাকসবজীর প্রায় ১৫০ হেক্টর ফসলী জমি ডুবে গেছে, এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, বন্যার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

 

 
Electronic Paper